১৮ অক্টোবর, ২০২৫
গত (১৪ অক্টোবর, মঙ্গলবার) বাংলাদেশ ব্যাংকের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়েছে পবিত্র সিরাতুন্নবী (সা.) মাহফিল। এতে প্রধান আলোচকের বক্তব্য দেন বিশিষ্ট ইসলামি ব্যক্...
আরও পড়ুন
১৮ অক্টোবর, ২০২৫
গত (১৪ অক্টোবর, মঙ্গলবার) বাংলাদেশ ব্যাংকের আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়েছে পবিত্র সিরাতুন্নবী (সা.) মাহফিল। এতে প্রধান আলোচকের বক্তব্য দেন বিশিষ্ট ইসলামি ব্যক্তিত্ব, লেখক, আলোচক ও আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ।শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, ‘ইসলাম শুধু ইবাদতের ধর্ম নয়, ইসলাম ন্যায়, ইনসাফ ও মানবকল্যাণের এক পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা। অর্থনীতি, কর্মক্ষেত্র, লেনদেন, প্রশাসন ও জীবনের সর্বক্ষেত্রে নৈতিকতার বাস্তবায়নই হলো প্রকৃত ইসলামি চেতনা। এক্ষেত্রে আমাদের প্রোজ্জল দৃষ্টান্ত সাহাবায়ে কেরাম। সাহাবিদের অর্থনৈতিক স্বচ্ছতা উম্মহর জন্য অবশ্য অনুসরণীয়।’আলোচনা করছেন শায়খ আহমাদুল্লাহএছাড়াও তিনি সততা, আমানতদারিতা ও ন্যায়সঙ্গতভাবে জীবন পরিচালনার জন্য সীরাতের আলোকে দিকনির্দেশনামূলক আলোচনা পেশ করেন। সেই সাথে ইনসাফ ও শরিয়াহভিত্তিক অর্থনৈতিক ব্যবস্থার বাস্তবায়নেরও আহ্বান জানান তিনি।উপস্থিত ব্যাংকের কর্মকর্তা ও বিভিন্ন পর্যায়ের দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গের প্রতি প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, আমাদের দেশে এমনকি বিশ্বজুড়ে এই যে এত দারিদ্র্য, এত ইনজাস্টিস, এত বাই ডিফল্ট অর্থ সম্পদ যে একটা নির্দিষ্ট শ্রেণির মানুষের হাতে চলে যাচ্ছে, এটা প্রচলিত ইকোমিক সিস্টেমের ত্রুটি কি না, সেটা আমাদের খুঁজে বের করতে হবে।শায়খ আহমাদুল্লাহকে রিসিভ করছেন বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তারাতিনি আরও বলেন, পৃথিবীজুড়ে যে ব্যাংকিং সিস্টেম দাঁড়িয়ে আছে তা সত্যিকার অর্থে দারিদ্র্য বিমোচনে ভূমিকা রাখছে নাকি সর্বস্তরের সাধারণ মানুষের অর্থ-সঞ্চয় নিয়ে ধনী, প্রভাবশালী ব্যক্তি-গোষ্ঠী এবং করপোরেশনগুলোকে শক্তিশালী করা, তাদের বাণিজ্য সম্প্রসারণ এবং আরও পাওয়ারফুল করার কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে—এই প্রশ্নও নিজেদের প্রতি রাখতে হবে।শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, রাজনৈতিক বা মতাদর্শিক স্বার্থে যেন ব্যাংকব্যবস্থা ব্যবহৃত না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। তবেই সীরাতে রাসুলের আলোকে সত্যিকারের ইনসাফ প্রতিষ্ঠা হবে।অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. জাকির হোসেন চৌধুরী। সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংক কেন্দ্রীয় মসজিদ কমিটির সভাপতি মো. আনিচুর রহমান, অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক আফতাব উদ্দিন।
২৭ অক্টোবর, ২০২৪
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে ৮ আক্টোবর (২০২৪) অনুষ্ঠিত হয়েছে বিশেষ সীরাত সেমিনার। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে অনুষ্ঠিত এই সেমিনারে...
আরও পড়ুন
২৭ অক্টোবর, ২০২৪
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে ৮ আক্টোবর (২০২৪) অনুষ্ঠিত হয়েছে বিশেষ সীরাত সেমিনার। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে অনুষ্ঠিত এই সেমিনারে প্রধান আলোচক ছিলেন শায়খ আহমাদুল্লাহ। তিনি রাসুল (সা.)-এর আখলাক বা উত্তম চরিত্রের ওপর ঘণ্টা ব্যাপী আলোচনা করেন। আলোচনার শুরুতে তিনি আখলাক সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি হাদীস উল্লেখ করেন। যে হাদীসগুলোতে উত্তম চরিত্রের ফজিলত বর্ণিত হয়েছে। তিনি বলেন, অনেক বেশি নফল ইবাদত করে আল্লাহ ততটা প্রিয় হওয়া যায় না, যতটা প্রিয় হওয়া যায় উত্তম চরিত্র দ্বারা। এই পৃথিবীর সবচেয়ে উত্তম চরিত্রের মানুষ ছিলেন রাসুল (সা.)। তিনি এমন চরিত্রের মানুষ ছিলেন, তার উত্তম চরিত্রের সাক্ষ্য দিয়েছেন স্বয়ং আল্লাহ। উত্তম চরিত্রের অর্থ মাথা নত করে চলাফেরা করা নয়। উত্তম চরিত্রের সবচেয়ে বড় অনুষঙ্গ হলো বান্দার কোনো হক নষ্ট না করা। অনেকে মিষ্টি মিষ্টি কথা বলেন, বিনয়ী হয়ে চলেন, অথচ মানুষের ক্ষতি করায় সিদ্ধহস্ত। এর নাম উত্তম চরিত্র না। রাসুলের (সা.) চরিত্রের উদাহরণ দিতে গিয়ে তিনি বলেন, রাসুল (সা.) জীবনভর প্রতিকূলতার ভেতর জীবন অতিবাহিত করেছেন। কিন্তু কোনোদিন পার্থিব কারণে কারো ওপর বিরক্ত হয়েছেন, রাগ দেখিয়েছেন, এমন দৃষ্টান্ত পাওয়া যায় না। আনাস (রা.) দীর্ঘ দশ বছর রাসুলের খাদেম ছিলেন। এই দশ বছরে তিনি কখনো আনাসকে (রা.) বলেননি, আনাস, তুমি এটা কেন করলে বা কেন করলে না! সংসারে একাধিক স্ত্রী থাকার পরও রাসুল (সা.) কখনো মেজাজ হারাননি। বরং সবার সাথে সব সময় সুন্দর আচরণ করেছেন। এমনকি পশু-পাখিদের সাথেও তিনি উত্তম আচরণের কথা বলেছেন। কোনো প্রাণীকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করতে নিষেধ করেছেন। শায়খ আহমাদুল্লাহ আরো বলেন, আখলাকের আরেকটি বড় দিক হলো সত্যবাদিতা। রাসুল (সা.) এমন সত্যবাদী ছিলেন, জাহিলি যুগেই তিনি আল-আমিন বা বিশ্বস্ত উপাধিতে ভূষিত হয়েছিলেন। আখলাকের আরেকটি দিক হলো বিনয়। রাসুল (সা.) আপাদমস্তক বিনয়ী মানুষ ছিলেন। তার এমন বিনয় ছিল, যখন তিনি মজলিশে বসতেন, অচেনা লোকেরা তাকে আলাদাভাবে চিনতে পারত না।
১৭ অক্টোবর, ২০২৪
১৬ অক্টোবর ২০২৪-এ উত্তরা ইউনিভার্সিটির অডিটোরিয়ামে এক বিশেষ সীরাত সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেমিনারে প্রধান আলোচক ছিলেন শায়খ আহমাদুল্লাহ। আলোচনায় শায়খ আ...
আরও পড়ুন
১৭ অক্টোবর, ২০২৪
১৬ অক্টোবর ২০২৪-এ উত্তরা ইউনিভার্সিটির অডিটোরিয়ামে এক বিশেষ সীরাত সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেমিনারে প্রধান আলোচক ছিলেন শায়খ আহমাদুল্লাহ। আলোচনায় শায়খ আহমাদুল্লাহ নবীজীর (সা.) তারুণ্য ও যৌবনের নানা শিক্ষনীয় দিক তুলে ধরে তরুণদেরকে সেই আদর্শ ধারণ করতে উৎসাহিত করেন। জন্মের আগেই নবীজী (সা.) পিতাকে হারিয়েছিলেন। শৈশবে হারিয়েছিলেন দাদা আবদুল মুত্তালিবকে। এরপর তার আশ্রয়দাতা হয়েছিলেন চাচা আবু তালিব। আবু তালিব অর্থনৈতিকভাবে সচ্ছল ছিলেন না। দরিদ্র চাচার বোঝা হতে চাননি নবীজী (সা.)। এ কারণে সেই কিশোর বয়সেই তিনি মুজুরির বিনিময়ে মুশিরকদের ছাগল চরাতেন। সীরাতের এই ঘটনা উল্লেখ করে শায়খ আহমাদুল্লাহ কিশোর বয়সেই দরিদ্র পিতাদের অর্থনৈতিকভাবে সহযোগিতা করার পরামর্শ দেন উপস্থিত শিক্ষার্থীদেরকে। শুধু তাই নয়, তরুণ বয়সে নবীজী (সা.) খাদিজা (রা.)-এর মূলধন নিয়ে ব্যবসা করে সাফল্য দেখিয়েছেন। অর্থাৎ যৌবনে পদার্পনের আগেই তিনি শ্রম দিয়েছেন এবং ব্যবসা করেছেন। এর মাধ্যমে তিনি আমাদের জন্য অমূল্য শিক্ষা রেখে গেছেন। দুটি ঘটনাই ঘটেছে নবুওয়ত প্রকাশের পূর্বে জাহিলি সময়ে। নবীজী (সা.)-এর নেতৃত্ব ও বিবাদ মীমাংসার গুণও ছিল অতুলনীয়। জাহিলি যুগে তার বয়স যখন পঁয়ত্রিশ, সে সময় হাজরে আসওয়াদ স্থাপনকে কেন্দ্র করে কুরাইশের বিভিন্ন উপগোত্র যুদ্ধের প্রস্তুতি শুরু করে। সে সময় নবীজী (সা.) অসামান্য বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়ে সেই অনিবার্য যুদ্ধকে থামিয়ে দেন। এই ঘটনা উল্লেখ করে শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, আমাদের যুবকদেরকেও একইভাবে বিবাদ মীমাংসা, শান্তি স্থাপন ও নেতৃত্বে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে। নবীজী (সা.)-এর চরিত্র ছিল নির্মল ও পবিত্র। জাহিলি যুগেও তিনি সকল প্রকার পাপাচার থেকে মুক্ত ছিলেন। শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, নবীজীর জীবন থেকে পাপ পরিত্যাগের এই শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে। বৈষম্যের বিরুদ্ধেও নবীজী (সা.) ছিলেন অত্যন্ত কঠোর। বিদায় হজের ভাষণে তিনি বলেন, আরবের ওপর অনারবের এবং অনারবের ওপর আরবের কোনো শ্রেষ্ঠত্ব নেই। শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, আমাদের সমাজে নানা ধরনের বৈষম্য বিদ্যমান। এইসব বৈষম্যের বিরুদ্ধেও তরুণ সমাজকে সোচ্চার হতে হবে।
২০ অক্টোবর, ২০২৪
বাংলাদেশের স্বনামধন্য ইসলামী ব্যক্তিত্ব, বিদগ্ধ আলোচক, লেখক ও আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ তরুণ, যুবকদের উদ্দেশে বলেছেন, আমাদের...
আরও পড়ুন
২০ অক্টোবর, ২০২৪
বাংলাদেশের স্বনামধন্য ইসলামী ব্যক্তিত্ব, বিদগ্ধ আলোচক, লেখক ও আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ তরুণ, যুবকদের উদ্দেশে বলেছেন, আমাদের জন্মসূত্রে মুসলিম না হয়ে মুসলিম বাই চয়েস হতে হবে। মুসলিম বাই চান্স না, মুসলিম বাই চয়েস হতে হবে। আমাদের বুঝেশুনে মুসলমান না হলে ইসলাম কখনো আমাদের জীবনে থাকবে না। রোববার (২০ অক্টোবর) ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজ ইসলামিক কালচারাল ক্লাবের উদ্যোগে আয়োজিত ‘ফেইথ অ্যান্ড ফিউচার’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। এসময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজের প্রিন্সিপাল কাজী শামীম ফরহাদ, ক্লাব কো-অর্ডিনেটর মো. নুরুন্নবী, প্রতিষ্ঠানটির জ্যেষ্ঠ শিক্ষকরা। সেমিনারে মিডিয়া পার্টনার ছিল জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল ঢাকা পোস্ট। শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, জ্ঞান অর্জনের মাধ্যমে আমাদের ভেতর থেকে মুসলিম হতে হবে। কোরআন অধ্যয়ন করতে হবে। বুঝে বা অর্থসহ পড়তে হবে। কারণ কোরআনের চেয়ে প্রভাবক বা শক্তিশালী কোনো গ্রন্থ আর হতে পারে না। অন্য সব গ্রন্থ মানুষের লেখা কিন্তু কোরআন মানুষের নয়, স্রষ্টার বাণী। রাসুল (সা.) তরুণদের বেশি ভালোবাসতেন, স্নেহ করতেন, স্বপ্ন দেখাতেন– উল্লেখ করে তিন বলেন, প্রিয় নবী (সা.) এর চার পাশে সর্বক্ষণ যারা থাকতেন তাদের মধ্যে অভিজ্ঞরা যেমন থাকতেন তেমনি তরুণরা থাকতেন। বিশ্বে সব শাসকের পাশে থাকেন অভিজ্ঞরা। তরুণদের সংখ্যা তুলনায় অনেক কম দেখা যায়। কিন্তু প্রিয় নবী (সা.) এমন একজন নেতা, শাসক ছিলেন যার চার পাশে আবু বকর, উমরের মতো অভিজ্ঞদের পাশাপাশি বেশি থাকতেন আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস, বেলাল, আলী, আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর, আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ, আম্মার, খাব্বার ওমায়ের মুসাব ইবনে ওমরের মতো টগবগে তরুণরা। তারুণ্যের গুরুত্ব রাসুলের কাছে কেমন ছিল তা তুলে ধরে শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্যের সময়, কোনো আহ্বান করার সময়, অ্যাড্রেস করে কথা বলতে গিয়ে রাসুল (সা.) নারীদের ডাকতেন ইয়া মাসারাল নিসা, আর তরুণ সম্প্রদায় বা জনগোষ্ঠীকে তিনি ডাকতেন ইয়া মাসারাল সাবাব। হে তরুণ যুবকেরা। বৃদ্ধ বয়োজ্যেষ্ঠ নাগরিকদের তিনি সম্মান দিয়ে কথা বলার নির্দেশ দিলেও তরুণদের মতো বৃদ্ধ জনগোষ্ঠীকে অ্যাড্রেস বা সম্বোধন করে ডাকেননি, আহ্বান করেননি। তারুণ্য মানে উচ্ছলতা, উন্মাদনা, ভোগবিলাস, পাগলামি, আড্ডা, খেলাধুলা, কোনো কিছুতে সিরিয়াস না হওয়া নয়– উল্লেখ করে এ ইসলামী ব্যক্তিত্ব বলেন, রাসুল (সা.) তারুণ্যের সময়টাকে অনেক বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন। তিনি অন্য বয়সকে জীবনের ক্রিম টাইম বলে উল্লেখ করেছেন। আমাদের জীবনের অংশের বড় মূল্যবান হচ্ছে তারুণ্য। অথচ দুর্ভাগ্যজনক বাস্তবতা হলো সমাজ পরিবার মনে করে তরুণরা একটু পাগলামি, উন্মাদনা, বিনোদন, আড্ডা করবেই। তরুণরা যদি ধর্মকর্ম করে দাড়ি রাখে টুপি পরে তাহলে ব্যাপার কি, এই বয়সে এসব কেন। সমাজের মধ্যে একটা বদ্ধমূল ধারণা তৈরি হয়েছে যে এসব যেন বৃদ্ধ বয়সের জন্য তুলে রাখার বিষয়। আমাদের এখান থেকে বের হয়ে আসতে হবে। ‘অনেকে হজের মতো ইবাদতের ক্ষেত্রে বার্ধক্যের জন্য অপেক্ষা করেন, তরুণ বয়সে সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও হজ করেন না। ধারণা এমন যে তরুণ বয়সে হজ করলে পরে আর কোনো খারাপ কাজ করতে পারবেন না। কিন্তু ইসলামিক জ্ঞান বলছে, খারাপ কাজ আসলে হজের আগেও করা যায় না পরেও করা যায় না।’ শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, রাসুল (সা.) বলেছেন কিয়ামতের দিন বিশেষভাবে যে সময়টার জন্য জবাব দিতে হবে তা হচ্ছে তারুণ্য। তারুণ্যের জবাবদিহিতা করতে হবে। বৃদ্ধ হিসেবে কে কি করেছেন সে হিসাব আল্লাহ চাইবেন না। আবার আরশের নিচে ছায়া পাবেন, আশ্রয় পাবেন সেই তরুণরা যারা নিজেদের তারুণ্যকে খারাপ কাজ থেকে রক্ষা করে ইবাদতে কাটিয়েছে। তিনি বলেন, মানুষের বিশ্বাস মানুষকে পরিচালিত করে। ভবিষ্যৎ বিনির্মাণে বিশ্বাস সহায়ক ভূমিকা পালন করে। মানুষ ঈমানের জায়গায় পরিষ্কার থাকলে, যার মাঝে আখেরাতে তারুণ্য নিয়ে জবাবদিহি করতে হবে ভাবনা আসবে, সেই ঈমানদার, বিশ্বাসী মানুষকে পাহারা দেওয়ার জন্য মনিটরিং সিস্টেমের প্রয়োজন হয় না, হবে না। ঈমানের তাড়না থেকে কোনো কিছু করলে সেখানেই আনন্দ আছে। স্বনামধন্য এই ইসলামী আলোচক বলেন, আমাদের হতে হবে সিরিয়াস মুসলিম। ইসলামকে আমাদের জানতে বুঝতে হবে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্যি যে, বিশ্বজুড়ে আমরা আজ জন্মগত মুসলিম হওয়ার কারণে ইসলাম নিয়ে বিশেষ ভাবনা তৈরি হয় না। ঈমান সম্পর্কে, বিশ্বাসের ভিত্তি সম্পর্কের ফায়সালা করতে পারি না। আল্লাহ ছাড়া ইবাদতের কেউ উপাস্য হতে পারবে না। আমাদের ঈমানকে বুঝতে হবে। অনেক মানুষ আছেন যিনি নামাজ রোজা, ইসলামের অনেক কিছু করেন কিন্তু বিশ্বাসের জায়গায় তিনি দুর্বল। এমন ব্যক্তির কোনো আমল আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। কেননা ঈমানদার হতে হবে, আবার কি কারণে খারিজ হতে পারি সে ব্যাপারে আমাদের জানাশোনা রাখতে হবে, পড়াশোনা করতে হবে। ঈমানই আমাদের গন্তব্য ঠিক করবে অথচ সেখানেই আমরা আজ পিছিয়ে আছি। শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, আমরা যত আধুনিকই হই না কেন, ইসলাম তার চেয়ে এক ধাপ বেশি এগিয়ে। আজ ২০২৪ সালে এসে একজন রিকশাচালকও জ্ঞানের গুরুত্ব বোঝেন। কিন্তু দেড় হাজার বছর আগে জ্ঞানের গুরুত্ব কেউ বুঝতেন না। তখনই ওহি নাজিল হয়েছিল, জ্ঞান আরোহণকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে– ‘ইকরা বিসমি রাব্বিকাল্লাজি খালাক’। তিনি তরুণদের পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, শৈথিল্য বা দুর্বলচিত্তের কোনো কাজ আল্লাহ পছন্দ করেন না। যে কাজই করেন না কেন, ভালোভাবে করতে হবে। আল্লাহর দাসত্ব করতে হবে। এজন্য লেবাসধারী হতেই হবে এমন কোনো কথা নেই। ‘তরুণদের জীবনের লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হবে। অভিভাবক কেন তার সন্তানকে স্কুলকলেজে দিচ্ছেন, কষ্ট করে লেখাপড়া করাচ্ছেন? অনেক তরুণ প্রশ্ন করলে বলতে পারবেন না। অনেকে হয়ত বলবেন ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার হবেন। চামচা কেউ হতে চান না কিন্তু যদি সেটা প্রধানমন্ত্রী বা রাষ্ট্রপতি বা প্রধান উপদেষ্টার চামচা বা পিএস… হবেন? সেটা অনেকে সম্মানের মনে করেন। কিন্তু অগণিত সৃষ্টির স্রষ্টা আল্লাহর দাস হতে পারাটা তো সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত সম্মানের হওয়ার কথা। এতে হারানোর কিছু নেই, টেনশন নেই, শুধুই প্রাপ্তি। সূত্র: ঢাকা পোস্ট
১ অক্টোবর, ২০২৪
শিক্ষার্থীদের মধ্যে মহানবী (সা.)-এর জীবনাদর্শ ও তার দেয়া শিক্ষার আলো ছড়ানোর মাধ্যমে একটি সত্য ও সুন্দর জীবন পরিচালনা করার জন্য অনুপ্রাণিত করতে ড্যাফোড...
আরও পড়ুন
১ অক্টোবর, ২০২৪
শিক্ষার্থীদের মধ্যে মহানবী (সা.)-এর জীবনাদর্শ ও তার দেয়া শিক্ষার আলো ছড়ানোর মাধ্যমে একটি সত্য ও সুন্দর জীবন পরিচালনা করার জন্য অনুপ্রাণিত করতে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশানাল ইউনিভার্সিটির সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত হয়েছে মুহাম্মদ (সা.) এর জীবন ও শিক্ষা শীর্ষক সেমিনার। এতে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য প্রফেসর ড. এস এম মাহবুব উল হক মজুমদারর সভাপতিত্বে সেমিনারে শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের প্রিয়নবী মুহাম্মদ (সা) মানবতাকে ধ্বংসের অতল থেকে উন্নতির চরম শিখরে তুলে আনেন। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসুলের জীবনে রয়েছে উত্তম আদর্শ ও অনুপম দৃষ্টান্ত। আমাদের প্রিয় নবীর জীবন যাপন পদ্ধতি সমগ্র বিশ্বের সকল মানুষের জন্য এর চেয়ে উত্তম আদর্শ আর কিছুই হতে পারে না। তিনি শিক্ষার্থীদের মহানবী (সা.)-এর জীবনাদর্শকে জীবনের অবলম্বন হিসাবে গ্রহণ করে মহানবীর জীবন বিধান ও ভালো দিকগুলো দিয়ে জীবনকে আলোকিত করার আহ্বান জানান। ড্যাফোডিল ইসলামিক সেন্টার মূলত মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য পবিত্র কুরআন এবং নবী মুহাম্মদের সুন্নাহর উপর ভিত্তি করে বিস্তৃত ইসলামী জীবনধারা প্রচার করে থাকে। এজন্য এই সেন্টারের আওতায় বিভিন্ন ধরনের কোর্স অফার করা হয়ে থাকে। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ড. মুখতার আহমদসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ফ্যাকাল্টির শিক্ষকগণ উপস্থিত ছিলেন।
১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলের পার্শ্ববর্তী পুচ্ছন সিটির দেজিন ইউনিভার্সিটি স্টেডিয়াম ইসলামিক কনফারেন্স প্রবাসী বাংলাদেশিদের মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে। ১৫...
আরও পড়ুন
১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলের পার্শ্ববর্তী পুচ্ছন সিটির দেজিন ইউনিভার্সিটি স্টেডিয়াম ইসলামিক কনফারেন্স প্রবাসী বাংলাদেশিদের মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে। ১৫ সেপ্টেম্বর, রোববার কোরিয়া মুসলিম ফেডারেশনের তত্ত্বাবধানে সংউরি মসজিদ আয়োজন করেছে দ্বিতীয় বার্ষিক ইসলামিক কনফারেন্স। মসজিদের সভাপতি এম জামান সজলের সভাপতিত্বে জনাকীর্ণ এই কনফারেন্সে বক্তব্য রাখেন জনপ্রিয় ইসলামি ব্যক্তিত্ব শায়খ আহমাদুল্লাহ। এতে অন্যান্যের মধ্যে আলোচনা করেন ও ড. মিজানুর রহমান আজহারী। সঞ্চালনা করেন সংউরি মসজিদের ইমাম মুফতি মুহাম্মাদ উমর ফারুক ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ তমাল। শায়খ আহমাদুল্লাহ তার বক্তব্যে প্রবাসীদেরকে বাংলাদেশ ও মুসলিমদের সুনাম ধরে রাখার জন্য বিশেষভাবে সজাগ থাকার পরামর্শ দেন এবং প্রবাসে থেকেও কীভাবে নিজের আইডেন্টিটি ধরে রাখা যায় সে বিষয়ে বক্তব্য রাখেন।
৮ জুলাই, ২০২৪
বিজয়ীদের আনন্দঘন উপস্থিতিতে সম্পন্ন হয়েছে কুরআন পাঠ ও প্রতিযোগিতা ২০২৪-এর প্রথম ধাপের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। গত ৬ জুলাই (২০২৪) আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন...
আরও পড়ুন
৮ জুলাই, ২০২৪
বিজয়ীদের আনন্দঘন উপস্থিতিতে সম্পন্ন হয়েছে কুরআন পাঠ ও প্রতিযোগিতা ২০২৪-এর প্রথম ধাপের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান। গত ৬ জুলাই (২০২৪) আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে সম্পন্ন হয়েছে এই অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে প্রথম স্থান অর্জনকারীকে একটি কম্পিউটার, দ্বিতীয় স্থান অর্জনকারী দুজনকে দুটি ব্যক্তিগত ইসলামিক লাইব্রেরি (২৫ হাজার টাকার বই) এবং তৃতীয় স্থান অর্জনকারী পঞ্চাশ জনকে ১ হাজার টাকার রকমারি বুক গিফট ভাউচার দেওয়া হয়েছে। প্রথম স্থান অধিকার করেছেন এ বছর দাখিল পরীক্ষা দেওয়া এক মেধাবী কিশোর। দ্বিতীয় স্থান অর্জনকারী দুজনের একজন বুয়েটের সাবেক শিক্ষার্থী। এছাড়া ১৫ থেকে ৮০ বছর বয়সী নানা শ্রেণি-পেশার নারী-পুরুষ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছেন। তাদের মধ্যে ছিলেন সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, বুয়েট-ঢাবি সহ বিভিন্ন পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী, কৃষক, গৃহিণী প্রমুখ। পুরস্কার প্রদানের পূর্বে কুরআন পাঠের গুরুত্ব সম্পর্কে বিশেষ নাসীহা পেশ করেন আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ। কুরআন প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষা চলতি মাসের (জুলাই) ২৬ তারিখ বাদ ফজর অনুষ্ঠিত হবে ইনশাআল্লাহ। দ্বিতীয় ধাপ থেকে ফাউন্ডেশনের নিজস্ব ওয়েবসাইটে পরীক্ষা নেওয়ার প্রচেষ্টা চলছে। তার আগে ওয়েবসাইট থেকে একটি নমুনা পরীক্ষা নেওয়া হবে ইনশাআল্লাহ। নমুনা পরীক্ষার তারিখ শীঘ্রই ঘোষিত হবে। আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের এ প্রতিযোগিতার মূল উদ্দেশ্য বছর জুড়ে ব্যাপকভিত্তিক কুরআন চর্চা। এ কারণে এ বছরকে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন কুরআন বর্ষ ঘোষণা করেছে। উল্লেখ্য, এ বছর মোট ছয় ধাপে পুরো কুরআনের ওপর প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। এই প্রকল্পে ৩ টি উমরাহ সহ ১৫ লক্ষ টাকার পুরস্কার দিচ্ছে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন।
৫ জুন, ২০২৪
আলহামদু লিল্লাহ, শিক্ষার্থীদের আনন্দঘন উপস্থিতিতে সম্পন্ন হলো এসএসসি ও দাখিল উত্তীর্ণদের নাসীহা প্রোগ্রাম।কলেজের নতুন পরিবেশে গিয়ে শিক্ষার্থীরা যেন শে...
আরও পড়ুন
৫ জুন, ২০২৪
আলহামদু লিল্লাহ, শিক্ষার্থীদের আনন্দঘন উপস্থিতিতে সম্পন্ন হলো এসএসসি ও দাখিল উত্তীর্ণদের নাসীহা প্রোগ্রাম।কলেজের নতুন পরিবেশে গিয়ে শিক্ষার্থীরা যেন শেকড়চ্যুত না হয়, সে জন্যই আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন এই নাসীহা প্রোগ্রামের আয়োজন করে। ডা. নাবিল আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন পরিচালিত মাদরাসাতুস সুন্নাহর মাঠে অনুষ্ঠিত নাসীহা প্রোগ্রামে ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ মুখ্য আলোচক হিসেবে আলোচনা করেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আলোচনা করেন সফল উদ্যোক্তা ও মোটিভেশনাল স্পিকার মাহমুদুল হাসান সোহাগ; বিশিষ্ট চিকিৎসক ও পড়াশোনা বিষয়ক পরামর্শক ডা. নাবিল; শিশু-কিশোর মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. মাসুদ রানা; মনোরোগ বিশেষজ্ঞ তানভীর রহমান শাহ; বিশিষ্ট আলেম শায়খ আব্দুল হাই মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ; বিশিষ্ট উপস্থাপক মুফতী সাইফুল ইসলাম; প্রকৌশলী নাহিদ হাসান এবং আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সাব্বির আহমদ। অনুষ্ঠানে ক্বিরাত পরিবেশন করেন আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন ক্বারী সাইদুল ইসলাম আসাদ। নাশীদ পরিবেশন করেন শিল্পী বদরুজ্জামান। মাহমুদুল হাসান সোহাগ নাসীহা প্রোগ্রামে বিশেষজ্ঞগণ যে সকল বিষয়ের ওপর আলোচনা করেছেন, তারমধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো: মস্তিষ্কের ক্ষমতা বৃদ্ধি : ইসলাম ও চিকিৎসাবিজ্ঞানের আলোকে নির্দেশনা, ইন্টারনেট আসক্তি ও অবৈধ সম্পর্ক থেকে আত্মরক্ষার উপায়, হতাশা ও আত্মহত্যা থেকে সুরক্ষার উপায়, তারুণ্য বিধ্বংসী মাদকের ভয়াবহতা, উদ্যোক্তা হিসেবে বেড়ে উঠতে করণীয় ইত্যাদি। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অতিথিরা অনুষ্ঠানে শায়খ আহমাদুল্লাহ শিক্ষার্থীদের নীতিবান মানুষ হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে উৎসাহিত করেন। প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনার পাশাপাশি ধর্মীয় জ্ঞানার্জন ও তদনুযায়ী জীবন পরিচালনা করার উপদেশ দেন। শায়খ আব্দুল হাই মুহাম্মাদ সাইফুল্লাহ স্কুল জীবনে শিক্ষার্থীরা বাবা-মার চেনা গণ্ডির মধ্যে থাকে। কিন্তু কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর তারা ধীরে ধীরে বাবা-মার বৃত্ত থেকে বের হতে থাকে। এ সময় তাদের জীবনে আসতে শুরু করে তীব্র উত্তেজক, নিষিদ্ধ বিষয়সমূহ। এ সময় তাদেরকে যদি সঠিক পথে পরিচালিত করা না যায়, যদি তারা একবার পথহারা হয়ে যায়, তবে সেই নষ্ট গলি থেকে ফিরে আসা তাদের জন্য অত্যন্ত কঠিন হয়ে যায়। তাই এই সময়টাতে সন্তানের যত্ন নেওয়া, তাকে সময় দেওয়া, তার গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করা সমাজের সবার গুরুদায়িত্ব। এ বিষয়টি বিবেচনা করে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন নাসীহা প্রেগ্রামের উদ্যোগ গ্রহণ করে। কুরআন তিলাওয়াত করছেন ক্বারী সাইদুল ইসলাম আসাদ
২২ মে, ২০২৪
যেকোনো বিদ্যালয়ের একটি স্তর শেষ করে বিদায় নেয়ার সময় নাচ-গান করে র্যাগ ডে পালন যেন নতুন কালচার হয়ে দাঁড়িয়েছে। পশ্চিমাধাচের এই অনুষ্ঠান নিয়ে রয়েছে ব্যা...
আরও পড়ুন
২২ মে, ২০২৪
যেকোনো বিদ্যালয়ের একটি স্তর শেষ করে বিদায় নেয়ার সময় নাচ-গান করে র্যাগ ডে পালন যেন নতুন কালচার হয়ে দাঁড়িয়েছে। পশ্চিমাধাচের এই অনুষ্ঠান নিয়ে রয়েছে ব্যাপক সমালোচনাও। তবে এবার ভিন্ন এক বিদায়ের দেখা মিলল ফরিদপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে। র্যাগ ডের পরিবর্তে বিদায়ী শিক্ষার্থীরা আয়োজন করল নসীহা প্রোগ্রামের। আলোচনা করছেন শায়খ আহমাদুল্লাহ। ধ্রুপদী-৬ ব্যাচের বিদায় উপলক্ষে নসীহা আয়োজিত নসীহা প্রোগ্রামে প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তৃতা করেন দেশের স্বনামধন্য ইসলামী আলোচক ও চিন্তক শায়খ আহমাদুল্লাহ। গত ১৪ই মে সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত সেমনার অনুষ্ঠিত হয়। ফরিদপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে শায়খ আহমাদুল্লাহ উপার্জনে হালাল-হারাম বিষয়ে ইসলামী দৃষ্টিকোণ ব্যাখ্যার পাশাপাশি নৈতিকতা বিষয়ে আলোচনা করেন। এছাড়াও যুব সমাজের অধঃপতনের কারণ ও প্রতিকার সহনানাবিধ সমসাময়িক বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করেন তিনি। সেমানারে সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. প্রকৌশলী মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। শ্রোতাদের মধ্যে কলেজের বর্তমান ও প্রাক্তন ছাত্র, শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন । অনুষ্ঠানে শায়খ আহমাদুল্লাহ ছাত্র-শিক্ষকদের সমসাময়িক প্রশ্নেরও উত্তর দেন। কলেজ-অধ্যক্ষসহ শ্রোতাদের সঙ্গে শায়খ আহমাদুল্লাহ।
২০ মার্চ, ২০২৪
সফলভাবে সমাপ্ত হয়েছে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন দাওয়াহ প্রশিক্ষণ কর্মশালা ও দাঈ সম্মেলন ২০২৪। তৃতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত তিনব্যাপী দাওয়াহ প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অ...
আরও পড়ুন
২০ মার্চ, ২০২৪
সফলভাবে সমাপ্ত হয়েছে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন দাওয়াহ প্রশিক্ষণ কর্মশালা ও দাঈ সম্মেলন ২০২৪। তৃতীয়বারের মতো অনুষ্ঠিত তিনব্যাপী দাওয়াহ প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অংশ নেন ৬৫ জন মেধাবী দাঈ, ইমাম, খতীব ও মাদারাসা শিক্ষক। আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন অডিটোরিয়ামে আয়োজিত এই প্রশিক্ষণ কর্মশালায় যে বিষয়গুলোর ওপর প্রশিক্ষণ দেয়া হয় তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো: ইফেক্টিফ দাওয়াহ : পথ ও পদ্ধতি, পাবলিক স্পিকিং, কনফ্লিক্ট ম্যানেজমেন্ট, ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্স, ধর্মত্যাগ ও পশ্চিমা সংস্কৃতির বিভ্রম, দাওয়াহ ও মনস্তত্ত্ব, মনোবিজ্ঞানের প্রাথমিক ধারণা, লিডারশিপ, টাইম ম্যানেজমেন্ট, তুলনামূলক ধর্মতত্ত্ব ইত্যাদি। এতে প্রশিক্ষণ প্রদান করেন আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ, ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির মান নির্ণয় সেলের অতিরিক্ত পরিচালক জুনায়েদ মুনির, ওমর আল জাবির, সাবিত রায়হান, শরীফ মুহাম্মদ, শরীফ আবু হায়াত অপু প্রমুখ। তিনদিনের এই কর্মশালা শেষে পরদিন আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত হয় দাঈ সম্মেলন। নতুন প্রশিক্ষণার্থী-সহ বিগত দুই ব্যাচের প্রশিক্ষণার্থীরা উপস্থিত হন এই সম্মেলনে। দিনভর চলে দাঈদের মাঝে আলাপচারিতা, মতবিনিময় ও আলোচনা। দাঈ সম্মেলনে দাঈদের উদ্দেশে মূল্যবান নসিহত পেশ করেন প্রাজ্ঞ আলেম, মাদরাসা দারুর রাশাদের পরিচালক মাওলানা সালমান, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের অধ্যাপক ড. গিয়াস উদ্দীন তালুকদার, প্রবীণ আলেম ও সাংবাদিক মাওলানা লিয়াকত আলী, আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়খ আহমাদুল্লাহ, জনপ্রিয় আলোচক, খতীব আব্দুল হাই মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ, তরুণ আলেম, গবেষক মুহিউদ্দীন ফারুকী। উল্লেখ্য, এদেশে দাঈদের প্রশিক্ষণ না থাকায় দাওয়াহর ময়দানে প্রায়ই অস্থিরতা, বিশৃঙ্খলা, বাগযুদ্ধ, বাগড়ম্বরতা পরিলক্ষিত হয়, যা সাধারণ মুসলমানকে বিভ্রান্ত করে আর বিশেষ একটি মহল এতে পেয়ে যায় ইসলামের ছিদ্রান্বেষণের সুযোগ। এই সংকট নিরসনে আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশন নিয়মিত আয়োজন করে থাকে দাওয়াহ প্রশিক্ষণ কর্মশালা। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দাওয়াহর ময়দানকে অবিতর্কিত, সুশৃঙ্খল, সুসংহত ও সুশোভিত করা এই কর্মশালার মূল লক্ষ্য।
- ১