

শব্দসন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলুন। উম্মাদনায় লিপ্ত বিবেক-বিবেচনাহীন উছৃঙ্খল তরুণদের থামাতে প্রতিটি সমাজ থেকে ঐক্যবদ্ধ পদক্ষেপ নিন। তাদের কাউন্সেলিং করুন। প্রয়োজনে আপনার অভিযোগ ৯৯৯-এ ফোন করে জানান। এতে গুটিকয় উছৃঙ্খল তরুণের উম্মাদনা ও বুনো উল্লাসে দেশের মানুষ কতটা অতিষ্ঠ, সেটা প্রশাসন আরো ভালোভাবে আঁচ করবে।ধর্ম, রাজনীতি কিংবা বিয়ে-বিনোদন—যে নামেই হোক, মানুষকে অতিষ্ঠ করে, এমন বিকট আওয়াজ সভ্য সমাজে অগ্রহণযোগ্য।
আরও পড়ুন

থার্টি ফার্স্ট নাইট এখন এক আতঙ্কের নাম হয়ে গেছে নগরবাসীর জীবনে।যে আগুন এক মুহূর্তে ছাই করে দিতে পারে আমাদের সম্পদ, জীবন এবং সাজানো সংসার; সেই আগুন হয়ে উঠেছে আমাদের বর্ষবরণের প্রধান উপকরণ।একটা প্রজন্ম কতটা উন্মাদ, অবিবেচক, উচ্ছৃঙ্খল হলে আগুন আর পটকা নিয়ে উৎসব করতে পারে!গত দুই বছরে থার্টি ফার্স্ট নাইটের উন্মত্ততা যেন লাগামছাড়া হয়ে গেছে। উল্লাসকারীদের পটকার আওয়াজে একটি নিষ্পাপ শিশুর জীবন প্রদীপ নিভে যাওয়ার ঘটনা এখনো আমাদের হৃদয় রক্তাক্ত করে। সর্বস্ব দিয়ে গড়ে তোলা সেই দরিদ্র নারী উদ্যোক্তা, ফানুসের আগুনে যার প্লাস্টিক কারখানা সম্পূর্ণ ভস্ম হয়ে গিয়েছিল, তার কথা ভেবে এখনো আমরা বিষণ্ন হই।একটু ভাবুন, নিহত ওই শিশুটি যদি আপনার সন্তান হতো! নিংস্ব ওই নারীটি যদি হতো আপনার বোন! বিগত দিনের এইসব ভয়াবহ দুর্ঘটনাগুলোর কথা চিন্তা করে হলেও আমাদের ‘আগুন নিয়ে খেলা’ বন্ধ করা উচিত।যে শহরে জালের মতো ছড়িয়ে আছে বৈদ্যুতিক তার, সেই শহরের যুবকেরা যখন ফানুসের নামে টাকা পোড়ায়, তাদের বুক কি একটুও কেঁপে ওঠে না দুর্ঘটনার শঙ্কায়!আমরা জীববৈচিত্র্যের কথা বলি। প্রকৃতির শোভা বর্ধনে পাখিদের অবদানের কথা বলি৷ অথচ উৎসবের নামে অযৌক্তিক এই উন্মাদনার কারণে যে আমাদের পরিবেশ ও প্রাণীবৈচিত্র্য ধ্বংস হচ্ছে, তার বেলায় আমরা কেন চুপ!নতুন বছরের আগমন যদি আনন্দের কারণ হয়, তবে পুরনো বছরের বিদায় বেদনার কারণ হওয়া উচিত। নববর্ষে যারা আনন্দ উদযাপন করে, হারিয়ে ফেলা বছরটির জন্য তারা কি কখনো বেদনা অনুভব করে?মানুষকে আল্লাহ বিবেক দিয়ে সৃষ্টি করেছেন। বিবেকসম্পন্ন মানুষের পাশবিক উন্মাদনায় পাখিরা যদি আতঙ্কে ডানা ঝাপটায়, রাস্তার কুকুর যদি দিগ্বিদিক ছোটাছুটি করে ভয়ে, গরিবের মাথাগোঁজার আশ্রয় যদি ছাই হয় ফানুসের আগুনে, পটকার বিকট শব্দ যদি খালি করে মায়ের কোল, তবে মানুষ তোমার শ্রেষ্ঠত্ব রইল কোথায়!
আরও পড়ুন

ঈসা আলাইহিস সালামের জন্মস্থান ফিলিস্তিন। পশ্চিমা দুনিয়াসহ বিশ্বজুড়ে যখন ঈসা (আ.)-এর জন্মোৎসবের নামে উৎসবের জোয়ার বইছে, ঠিক তখন তাঁর জন্মস্থান ফিলিস্তিনে শিশুদের ওপর চলছে ইতিহাসের বর্বরতম নারকীয় হামলা। তাদের দিন কাটছে মহা-আতঙ্কে। প্রতিদিনই পিতামাতা হারিয়ে এতিম হচ্ছে সেখানকার শিশুরা।যে নবী শান্তির বার্তা নিয়ে পৃথিবীতে এসেছিলেন, তার পবিত্র জন্মভূমি এখন লাশের নগরী। ঈসা (আ.)-এর পবিত্র শৈশব কাটল যে ভূমিতে, সেই ভূমির এই দুঃসময়ে লাগামহীন উৎসবে মেতে ওঠা তার উম্মতের দাবিদারদের জন্য কীভাবে শোভনীয় হতে পারে!ঈসা (আ.)-এর জন্মের প্রতি তখনই প্রকৃত সম্মান জানানো হবে, যখন ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষ ফিলিস্তিনের পাশে দাঁড়াবে।
আরও পড়ুন

ট্রেনে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় পুড়ে অঙ্গার হয়েছে মায়ের কোলের শিশুসহ চারজন বনি আদম। কী মর্মান্তিক!প্রতিবার ‘দুর্বৃত্ত’ শব্দের আড়ালে ঢাকা পড়ে যায় আসল অপরাধীদের পরিচয়। এ ধরনের কোনো ঘটনা কিংবা দুর্ঘটনার সুষ্ঠু বিচার হতে দেখা যায় না কখনো। অগ্নিকান্ড কিংবা অগ্নিসংযোগ বা যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার দায় তো কারো না কারো ওপর অবশ্যই বর্তায়।কিন্তু এই ধরনের অপকর্মের দায় কাউকে নিতে দেখা গেছে কখনো? বিচারহীনতার সংস্কৃতি এরূপ ঘটনা বার বার ঘটাতে সহায়তা করে। বিচারহীনতার এই বৃত্ত ভাঙার জন্য একটা জাগরণ প্রয়োজন।আল্লাহ নিহতদের শহিদি মর্যাদা দান করুন, নিহতের স্বজনদের ধৈর্য ধারণের তাওফিক দিন। মানুষের জীবনের মূল্য দেওয়ার তাউফিক হোক এই সমাজের।
আরও পড়ুন

বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন লোগো থেকে ‘হে প্রভু তুমি আমার জ্ঞান বাড়িয়ে দাও’ কুরআনিক বাক্যটি সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের এই সিদ্ধান্তে এদেশের ধর্মপ্রাণ মানুষেরা যে ভীষণভাবে মর্মাহত ও সংক্ষুব্ধ হয়েছে, বলার অপেক্ষা রাখে না।আমরা অনেকেই ধর্মকে উন্নতি ও অগ্রগতির পথে বাধা মনে করছি। অথচ মালয়েশিয়া-সহ পৃথিবীর বহু মুসলিম দেশের রন্ধ্রে রন্ধ্রে ইসলামি মূল্যবোধ ও আদর্শ বহাল থাকার পরও তারা উন্নতির চরম শিখরে পৌঁছেছে।শুধু তাই নয়, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, যুক্তরাজ্য, ডেনমার্ক-সহ অনেক খ্রিষ্টান প্রধান দেশের জাতীয় পতাকায় খোচিত আছে তাদের ধর্মীয় নিদর্শন ক্রুশের চিহ্ন। পৃথিবীর বহু দেশের জাতীয় সংগীতে উজ্জ্বল হয়ে আছে তাদের ধর্মের অনুষঙ্গ।এমনকি যাদেরকে আমরা উন্নয়নের রোল মডেল মনে করি, যাদের উন্নতি দেখে আমরা দিবারাত্র ঈর্ষা করি, সেই তাদের ডলারের গায়ে লেখা আছে IN GOD WE TRUST।ধর্ম তাদের উন্নতি ও অগ্রগতির পথে বাধা হলো না, অথচ উন্নতির দোহাই দিয়ে আমরা নানাভাবে ধর্মীয় অনুষঙ্গ ছাঁটাই করে চলেছি। এটা করে আমরা কতটুকু উন্নত হতে পেরেছি তা উল্লিখিত দেশগুলোর সাথে নিজেদের তুলনা করলেই স্পষ্ট হয়ে যায়।পৃথিবীর প্রায় সকল সভ্যতা ধর্মীয় বিশ্বাসের ওপর নির্ভর করে গড়ে উঠেছে। এ কারণে ধর্মের কাছে আমাদের কৃতজ্ঞ থাকা উচিত। যারা উন্নয়নের দোহাই দিয়ে ধর্ম ত্যাগ করছে, তারা মূলত বিশ্বসভ্যতার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করছে।আজ একটি জাতীয় প্রতিষ্ঠানের লোগো থেকে কুরআনিক বাক্য সরিয়ে দেওয়া হলো। কাল অন্য জায়গা থেকে যে সরিয়ে দেওয়া হবে না, তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। এভাবে চলতে থাকলে একদিন মুসলিম নামটাই আমাদের কাছে লজ্জার কারণ হয়ে উঠবে।
আরও পড়ুন

বিদেশি ব্র্যান্ডের পরিবর্তে দেশি ব্র্যান্ডের পণ্য কেনা হয়তো সব সময় সম্ভব হয় না, কিন্তু চেষ্টা করলে মানুষ পারে না এমন কিছু নেই।যাদের তৈরি পণ্য ধ্বংসদূত হয়ে নিরীহ মানুষের উপর পতিত হয়, তাদের পণ্য না কেনা আমাদের মতো অক্ষম লোকদের সবচেয়ে কার্যকর প্রতিবাদ।আমার বয়কটের কারণে কিছু হোক বা নাহোক, আমার ন্যূনতম কর্তব্য পালন তো হবে! আর সচেতনতা তৈরি করে এটাকে সামাজিক আন্দোলনে পরিণত করা গেলে সেটা যে কতটা কার্যকরী হয়ে ওঠে, তা মধ্যপ্রাচ্যের বাজারের দিকে তাকালে সহজেই বোঝা যায়।আসুন, অত্যাচারীদের সকল ব্র্যান্ড বর্জনের সাধ্যমত চেষ্টা করি।
আরও পড়ুন

অনেকে বই বিপণন কিংবা কুরআন বা আরবি শিক্ষা কোর্সের প্রচার ও বিজ্ঞাপনের জন্য আমার ভিডিও ব্যবহার করছেন। এ সকল ভিডিও ব্যবহারের জন্য তারা আমার অনুমতি নেননি, আমিও অনুমতি দিইনি। এমনকি অফিশিয়ালি নিষেধ করার পরও তারা ভিডিও সরিয়ে নেননি।সাধারণ প্রমোশনের জন্য ভিডিও ব্যবহার করলে দীনি চেতনা থেকে আমরা বাধা দিই না। কিন্তু কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান অত্যন্ত দৃষ্টিকটুভাবে বিজ্ঞাপন হিসেবেই ভিডিও ব্যবহার করছেন। যেন উক্ত প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনের জন্যই আমি ভিডিওটি বানিয়েছি।যারা এগুলো করছেন, তারা নিঃসন্দেহে অনৈতিক কাজ করছেন। এই জাতীয় কোনো প্রতিষ্ঠানের সাথে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। এই ধরনের ভিডিও দেখলে প্রয়োজনে আপনারা প্রতিবাদ জানাতে পারেন। এসব বিজ্ঞাপন দেখে প্রতারিত না হওয়ার জন্য সবাইকে অনুরোধ করছি।
আরও পড়ুন

কাজী নজরুল ইসলামের একটি বিপ্লবী সংগীতের সুর বিকৃত করায় নজরুলপ্রেমীদের প্রতিবাদে ফেটে পড়তে দেখা যাচ্ছে। তাদের একই কথা—নজরুলগীতির সুর বিকৃত করে নজরুলের মৌলিকত্বকে নষ্ট করার পাঁয়তারা করা হচ্ছে।নজরুলপ্রেমীদের কষ্টের জায়গাটা আমরা বুঝতে পারছি। যিনি যা ভালোবাসেন, যে আদর্শ অনুসরণ করেন, তিনি সব সময়ই চান, সেই অনুসরণীয় বিষয়ের মৌলিকত্ব যেন অটুট থাকে। এটাই প্রকৃতির দাবি।একই নিয়ম ইসলামের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। ইসলামকে যারা ভালোবাসেন, তারাও চান, তাদের অনুসরণীয় ইসলাম যেন ইসলামবিদ্বেষী কিংবা ইসলাম সম্পর্কে অজ্ঞ ব্যক্তিদের হাতে পড়ে বিকৃত না হয়। কেউ যদি বিকৃত করার চেষ্টা করে, তবে ইসলামপ্রেমীরা প্রতিবাদে ফেটে পড়েন, যেভাবে ফেটে পড়েছেন নজরুলপ্রেমীরা।কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো নজরুলপ্রেমীদের প্রতিবাদকে মৌলবাদিতা বলা না হলেও ইসলামপ্রেমীদের প্রতিবাদকে খুব সহজেই মৌলবাদিতা বলে দেয়া হয়। এটা এক শ্রেণির মানুষের পরিকল্পিত দ্বিচারিতা।মূলত আপন আপন আদর্শে আমরা প্রত্যেকেই মৌলবাদী। দোষ হয় শুধু ইসলামপন্থীদের।
আরও পড়ুন

শিশুর লাভক্ষতি তার অভিভাবক যতটা বোঝেন শিশু কখনোই ততটা বোঝে না। ঠিক একইভাবে আমাদের লাভক্ষতিও আমাদের অভিভাবক মহান আল্লাহ আমাদের চেয়ে ভালো বোঝেন।জীবন চলার পথে আমাদের চয়েজের চেয়ে আমাদের পালনকর্তার চয়েজ নিশ্চয় অনেক বেশি যথার্থ ও কল্যাণকর।সুতরাং প্রত্যাশার বিপরীত কিছু ঘটলে হতাশ হবেন না। সুখে-দুঃখে সব সময় আস্থা রাখুন মহান রবের ওপর, যিনি উত্তম পরিকল্পনাকারী।
আরও পড়ুন
- « Previous
- 1