
আসুন, রাসুল সা. এর ভালোবাসায় উদ্দীপিত হওয়ার জন্য একটি হলেও তার পূর্ণাঙ্গ জীবনীগ্রন্থ পাঠ করি।আজ পর্যন্ত পৃথিবীতে যত অমুসলিম ইসলাম গ্রহণ করেছেন, তাদের অধিকাংশই রাসুলের সা. জীবন পাঠ ও তার আদর্শে বিমোহিত হয়ে ইসলাম গ্রহণ করেছেন।একজন মুসলিম হিসেবে আমাদের ঈমানের দাবি— রাসুল সা.-কে পৃথিবীর সবকিছুর চেয়ে বেশি ভালোবাসা। আর রাসুলের সা. প্রতি ভালোবাসা বৃদ্ধির সবচেয়ে কার্যকরী মাধ্যম হলো তাকে জানা ও তার জীবনী পাঠ করা।তিনি এমন মানুষ ছিলেন, জন্মের আগ থেকেই নানা ধরনের প্রতিকূলতার উপলক্ষ তাকে ঘিরে তৈরি হয়েছে। মাথার ওপর থেকে একের পর এক সরে গেছে অভিভাবকদের ছায়া। স্বগোত্রীয়দের নির্যাতন ও ষড়যন্ত্রে বাধ্য হয়ে তাকে জন্মভূমি পর্যন্ত ত্যাগ করতে হয়েছে।এতসব প্রতিকূলতার পরও যে মানুষটি মাত্র তেইশ বছরের রিসালাতি জীবনে চূড়ান্ত পর্যায়ের বর্বর জাতিকে সোনার মানুষে পরিণত করেছেন, যার যুগান্তকারী রাজনৈতিক প্রজ্ঞায় পৃথিবী তার পট পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছে, সেই সফল মানুষটির জীবনেতিহাস ধর্ম-বর্ণ সব শ্রেণির মানুষেরই জানা উচিত।দেড় হাজার বছর পরও পৃথিবীর শত কোটি মানুষের কাছে তিনি বিস্ময়কর রকমের গ্রহণযোগ্য এবং জনপ্রিয়। নির্দিষ্ট ভূগোলের বাসিন্দা হয়েও শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে তিনি সারা পৃথিবীর শত কোটি মানুষের হৃদয় অলিন্দে মর্যাদার সঙ্গে বসবাস করছেন। কী এমন ঐন্দ্রজালিক ক্ষমতা তার চরিত্রে ছিল, যার জন্য জীবন দেয়াকে মানুষ গর্বের বিষয় মনে করে?এই বিস্ময়কর মানুষটির ক্যারিশমাটিক জীবনালেখ্য জানা এবং উজ্জীবিত হওয়ার জন্য হলেও আপনাকে সীরাতগ্রন্থ পড়তে হবে।একটু ভাবুন, এক জীবনে আপনি কত বই পড়েছেন! আপনার নির্ঘুম রাতজাগা চোখ ফেসবুকের কত শত অক্ষরের ওপর বিচরণ করেছে! কিন্তু আমাদের প্রিয় নবীর সা. জীবনী জানবার জন্য আপনি কয়টা দিন আকুল হয়েছেন!তাই আসুন, আমরা প্রতিজ্ঞা করি—জীবনে একটি হলেও সীরাতগ্রন্থ পড়ব। রাসুলের সা. অনুপম চরিত্র-মাধুর্যে নিজের জীবনকে উদ্ভাসিত করতে হলে আপনাকে সীরাতগ্রন্থের কাছে আসতেই হবে।