
বিদেশি ব্র্যান্ডের পরিবর্তে দেশি ব্র্যান্ডের পণ্য কেনা হয়তো সব সময় সম্ভব হয় না, কিন্তু চেষ্টা করলে মানুষ পারে না এমন কিছু নেই।যাদের তৈরি পণ্য ধ্বংসদূত হয়ে নিরীহ মানুষের উপর পতিত হয়, তাদের পণ্য না কেনা আমাদের মতো অক্ষম লোকদের সবচেয়ে কার্যকর প্রতিবাদ।আমার বয়কটের কারণে কিছু হোক বা নাহোক, আমার ন্যূনতম কর্তব্য পালন তো হবে! আর সচেতনতা তৈরি করে এটাকে সামাজিক আন্দোলনে পরিণত করা গেলে সেটা যে কতটা কার্যকরী হয়ে ওঠে, তা মধ্যপ্রাচ্যের বাজারের দিকে তাকালে সহজেই বোঝা যায়।আসুন, অত্যাচারীদের সকল ব্র্যান্ড বর্জনের সাধ্যমত চেষ্টা করি।
আরও পড়ুন

হাসপাতালে চিকিৎসারত নিরস্ত্র অসুস্থ মানুষের ওপর হামলা করা যুদ্ধাপরাধ তো বটেই, কাপুরুষতারও চূড়ান্ত। পরিহাস হলো, তথাকথিত অনেক শিক্ষিতরাও কাপুরুষদেরই সমর্থন করছে। তবে আমরা আশাবাদী, আজ হোক বা কাল কাপুরুষদের পরাজয় হবেই। মজলুমদের আকুতি আল্লাহ কবুল করবেন।
আরও পড়ুন

কোনো মুসলিম-প্রধান দেশ নয়, অবৈধ রাষ্ট্রটির বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ এনেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। গত দুইদিন ধরে চলছে তার শুনানি।অবৈধ রাষ্ট্রটির বিরুদ্ধে ৮৪ পৃষ্ঠার দালিলিক অভিযোগ দাখিল করেছে তারা। এই মামলার ফলাফল কী হবে আমরা জানি না। কিন্তু এই সততা ও সাহসিকতার জন্য আমরা দক্ষিণ আফ্রিকাকে অভিনন্দন জানাই।পাশাপাশি দোয়া করি, মুসলিম দেশগুলোও যেন তাদের থেকে শিক্ষা গ্রহণ করে। অবৈধ দেশটির বিরুদ্ধে আমরাও যেন মেরুদণ্ড সোজা করে দাঁড়াতে পারি।আমাদের পণ্য বয়কট অব্যাহত থাকুক। বায়তুল মোকাদ্দাসের প্রতিবেশীদের পাশে দাঁড়াবার জন্য পণ্য বয়কটের মতো কার্যকর মাধ্যম আর নেই।
আরও পড়ুন

যুক্তরাষ্ট্রের নামীদামি বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া তরুণেরা এবার নিপীড়িত ফিলিস্তিনিদের জন্য বিক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে। তারা যা করেছে, আরব দেশ-সহ অনেক মুসলিম দেশও তা করতে পারেনি। অভিশপ্তদের বিরুদ্ধে তাদের বিক্ষোভ যুক্তরাষ্ট্র তো বটেই, গোটা বিশ্বকেই নাড়িয়ে দিয়েছে। নিউ ইয়র্ক সিটিতে অবস্থিত কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শুরু হয় বিক্ষোভ। পর্যায়ক্রমে তা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অন্তত চল্লিশটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ছড়িয়ে পড়ে। মজার ব্যাপার হলো, এই আন্দোলনে শামিল হয়েছে অনেক ইহুদী শিক্ষার্থীও। তাদের আন্দোলন এতটাই তীব্র ছিল যে, দুই হাজারের অধিক শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করতে বাধ্য হয়েছে মার্কিন প্রশাসন। অনেক শিক্ষার্থীকে করা হয়েছে বহিষ্কার। তারা প্রমাণ করল, মজলুমের পাশে দাঁড়াবার জন্য মুসলমান হওয়া জরুরি নয়, বিবেকবান মানুষ হওয়াই যথেষ্ট। যদিও আমাদের দেশের ‘বিবেকবান মানুষ’ দাবিকারী কথিত প্রগতিশীলরা এই ইস্যুতে নীরব। অমুসলিম দেশগুলো শুধু বিক্ষোভই করছে না, কার্যকর বয়কটেও তারা অংশ নিয়েছে। যার ফলে অভিশপ্তদের অনেক বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান মুখ থুবড়ে পড়েছে। এভাবেই, কখনো কখনো যখন মুসলিম বিবেক রুদ্ধ হয়ে যায়, তখন মহান আল্লাহ অমুসলিমদের মাধ্যমে তার দীনকে সাহায্য করেন। জীবন ও ক্যারিয়ার ঝুঁকির মধ্যে ফেলেও মার্কিন তরুণেরা মজলুম মুসলমানদের জন্য যা করল, তা বিশ্ববাসীর জন্য উদাহরণ হয়ে থাকবে। এখান থেকে সারা বিশ্বের মুসলিম যুবকদের শিক্ষা গ্রহণ করা উচিত। আমরা মার্কিন তরুণদের এই সাহসিকতাকে শ্রদ্ধা জানাই।