ফেসবুকের পাতা থেকে | শিক্ষা

videocard
স্কু্ল এবং মাদরাসা দুটো দুই ধরনের প্রতিষ্ঠান

স্কু্ল এবং মাদরাসা দুটো দুই ধরনের প্রতিষ্ঠান। যারা সন্তানকে মাদরাসায় ভর্তি করান, তারা সচেতনভাবেই সন্তানকে ইসলামি মূল্যবোধ ও শরীয়া শেখানোর জন্য ভর্তি করান। কিন্তু সেই মাদরাসায় যদি শিল্প-সংস্কৃতির নামে শরীয়া বিরোধী ঢোল-তবলা এবং হারমোনিয়াম চাপিয়ে দেয়া হয়, সেটা কি সন্তান এবং অভিভাবকদের ওপর জুলুম নয়? জনসাধারণেন ওপর এই জুলুম করার অধিকার কি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আছে? যদি মাদরাসার স্বকীয়তা বজায় রাখার সদিচ্ছা না-ই থাকে, তবে বিপুল অর্থ খরচ করে শুধু শুধু এই প্রতিষ্ঠান রেখে লাভ কী! বন্ধ করে দিন এই প্লাটফরম। এতে জনগণ অন্তত বিভ্রান্তি থেকে বেঁচে যাবে। শিল্প-সংস্কৃতি মানে কি শুধুই ঢোল-তবলা-হারমোনিয়াম? কোনো অভিভাবক কি ঢোল-তবলা শেখার জন্য সন্তানকে মাদরাসায় ভর্তি করে? অনুগ্রহ করে এই স্বেচ্ছাচারিতা এবং হঠকারিতা বন্ধ করুন। নতুবা এভাবে চলতে থাকলে এই শিক্ষাব্যবস্থা থেকে জনগণ মুখ ফিরিয়ে নিতে বাধ্য হবে। সরকার-সহ সংশ্লিষ্ট মহল— কারো জন্যই সেটা সুখকর হবে না।

আরও পড়ুন

videocard
পাঠ্যপুস্তকে বিতর্কিত শরীফার গল্প বাতিলের সুপারিশ

আলহামদুলিল্লাহ, অবশেষে পাঠ্যপুস্তকে বিতর্কিত শরীফার গল্প আর থাকছে না। গুরুত্বপূর্ণ এ কাজটির পেছনে ভূমিকা রাখায় সংশ্লিষ্ট সবাইকে মহান আল্লাহ উত্তম বিনিময় দান করুন। বিশেষ করে পর্যালোচনা কমিটির আহবায়ক ইসলামী আরবী বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্জ ডক্টর মুহাম্মদ আব্দুর রশীদ, ডক্টর মাওলানা কফীলুদ্দীন সরকার সালেহী সহ সংশ্লিষ্টদেরকে ধন্যবাদ জানাই। মহান আল্লাহ আপনাদেরকে উত্তম বিনিময় দান করুন। সরকারকে ভুল বুঝিয়ে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের অধিকারের নামে যারা সমকামিতাকে ছড়িয়ে দিতে চেয়েছিল, তাদের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ায় আমরা আনন্দিত। এখন প্রয়োজন দ্রুত বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা। ভবিষ্যতেও তাদের চক্রান্তের ব্যাপারে সংশ্লিষ্টগণ সতর্ক থাকবেন বলে আমরা আশা রাখি। কিছুটা বিলম্বে হলেও বিতর্কিত গল্পটি বাদ দেওয়ার এ সিদ্ধান্তে আমরা কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই। স্বাস্থ্য সুরক্ষা বইসহ আরো যেসব বইয়ে পরিকল্পিতভাবে বিষ ঢুকানো হয়েছে সেগুলোর সংশোধনী আনাও জরুরী।

আরও পড়ুন

videocard
শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে র‍্যাগ ডে-র পরিবর্তে নসীহা প্রোগ্রাম

হওয়ার কথা ছিল র‍্যাগ ডে, কিন্তু শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে র‍্যাগ ডে-র পরিবর্তে হলো নসীহা প্রোগ্রাম। ব্যতিক্রমী এই উদ্যোগের কৃতিত্ব ফরিদপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের বিদায়ী শিক্ষার্থীদের। প্রোগ্রামের দিন শিক্ষার্থীদের উচ্ছ্বসিত অংশগ্রহণে কলেজ অডিটোরিয়াম ছিল কানায় কানায় পূর্ণ। দীনি ও নৈতিক শিক্ষার গুরুত্ব এবং কর্মজীবনে সাফল্য লাভের উপায় সম্পর্কে বিদায়ী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে দিক-নির্দেশনা দেওয়ার সুযোগ ঘটেছে, আলহামদুলিল্লাহ। র‍্যাগ ডে আর অশ্লীল নাচগান যখন একে অন্যের প্রতিশব্দ হয়ে উঠেছে, তখন ফরিদপুর ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের শিক্ষার্থীদের এই আয়োজন স্রোতের বিপরীতে বুক চিতিয়ে দাঁড়াবার মতো সাহসী ঘটনা। এই অবক্ষয়ের কালে তাদের এ উদ্যোগ সময়ের গায়ে চিহ্ন রেখে যাওয়ার মতো ব্যতিক্রমী দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।

আরও পড়ুন