news

জাহিলি যুগে নবীজীর (সা.) নির্মল তারুণ্য ও আমাদের শিক্ষা : উত্তরা ইউনিভার্সিটিতে শায়খ আহমাদুল্লাহ

১৭ অক্টোবর, ২০২৪, রাত ১২:০০

শায়খ আহমাদুল্লাহ

১৬ অক্টোবর ২০২৪-এ উত্তরা ইউনিভার্সিটির অডিটোরিয়ামে এক বিশেষ সীরাত সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেমিনারে প্রধান আলোচক ছিলেন শায়খ আহমাদুল্লাহ। আলোচনায় শায়খ আহমাদুল্লাহ নবীজীর (সা.) তারুণ্য ও যৌবনের নানা শিক্ষনীয় দিক তুলে ধরে তরুণদেরকে সেই আদর্শ ধারণ করতে উৎসাহিত করেন।

জন্মের আগেই নবীজী (সা.) পিতাকে হারিয়েছিলেন। শৈশবে হারিয়েছিলেন দাদা আবদুল মুত্তালিবকে। এরপর তার আশ্রয়দাতা হয়েছিলেন চাচা আবু তালিব। আবু তালিব অর্থনৈতিকভাবে সচ্ছল ছিলেন না। দরিদ্র চাচার বোঝা হতে চাননি নবীজী (সা.)। এ কারণে সেই কিশোর বয়সেই তিনি মুজুরির বিনিময়ে মুশিরকদের ছাগল চরাতেন। সীরাতের এই ঘটনা উল্লেখ করে শায়খ আহমাদুল্লাহ কিশোর বয়সেই দরিদ্র পিতাদের অর্থনৈতিকভাবে সহযোগিতা করার পরামর্শ দেন উপস্থিত শিক্ষার্থীদেরকে।

শুধু তাই নয়, তরুণ বয়সে নবীজী (সা.) খাদিজা (রা.)-এর মূলধন নিয়ে ব্যবসা করে সাফল্য দেখিয়েছেন। অর্থাৎ যৌবনে পদার্পনের আগেই তিনি শ্রম দিয়েছেন এবং ব্যবসা করেছেন। এর মাধ্যমে তিনি আমাদের জন্য অমূল্য শিক্ষা রেখে গেছেন। দুটি ঘটনাই ঘটেছে নবুওয়ত প্রকাশের পূর্বে জাহিলি সময়ে।

নবীজী (সা.)-এর নেতৃত্ব ও বিবাদ মীমাংসার গুণও ছিল অতুলনীয়। জাহিলি যুগে তার বয়স যখন পঁয়ত্রিশ, সে সময় হাজরে আসওয়াদ স্থাপনকে কেন্দ্র করে কুরাইশের বিভিন্ন উপগোত্র যুদ্ধের প্রস্তুতি শুরু করে। সে সময় নবীজী (সা.) অসামান্য বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়ে সেই অনিবার্য যুদ্ধকে থামিয়ে দেন। এই ঘটনা উল্লেখ করে শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, আমাদের যুবকদেরকেও একইভাবে বিবাদ মীমাংসা, শান্তি স্থাপন ও নেতৃত্বে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে।

নবীজী (সা.)-এর চরিত্র ছিল নির্মল ও পবিত্র। জাহিলি যুগেও তিনি সকল প্রকার পাপাচার থেকে মুক্ত ছিলেন। শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, নবীজীর জীবন থেকে পাপ পরিত্যাগের এই শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে।

বৈষম্যের বিরুদ্ধেও নবীজী (সা.) ছিলেন অত্যন্ত কঠোর। বিদায় হজের ভাষণে তিনি বলেন, আরবের ওপর অনারবের এবং অনারবের ওপর আরবের কোনো শ্রেষ্ঠত্ব নেই। শায়খ আহমাদুল্লাহ বলেন, আমাদের সমাজে নানা ধরনের বৈষম্য বিদ্যমান। এইসব বৈষম্যের বিরুদ্ধেও তরুণ সমাজকে সোচ্চার হতে হবে।