social post cover

তথাকথিত মুক্তমনাদের স্ববিরোধ

১ জানুয়ারী, ২০২৪, রাত ১২:০০

এদেশের আলেমদের ব্যাপারে কথিত মুক্তমনাদের একটা অভিযোগ আছে—হুজুররা সবকিছুর মধ্যে ধর্ম টেনে আনে। বিশেষত ক্রিকেট-ফুটবলকে কেন্দ্র করে জমে ওঠা জুয়ার বিরুদ্ধে কথা বললেই তারা বলে, হুজুররা খেলার মধ্যেও ধর্ম নিয়ে টানাটানি করে!
মজার ব্যাপার হলো, কোনো ক্রিকেটার যদি ধর্মের কথা বলে, তখন আবার তারা বলে, ক্রিকেটার কেন ধর্ম প্রচার করবে!
এক্ষেত্রে তারাই কিন্তু খেলার মধ্যে ধর্ম টেনে আনল।
বাংলাদেশের সংবিধানের কোথাও কি লেখা আছে, বিশেষ বিশেষ পেশার সেলিব্রেটিরা ধর্মের কথা বলতে পারবে না? কোথাও লেখা নেই। বরং ধর্ম পালন ও ধর্মের কথা বলা ব্যক্তির সাংবিধানিক অধিকার। তাহলে একজন ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে এই ধরনের বিদ্রূপাত্মক কথা বলার বৈধতা তারা কীভাবে পায়!
নিজ অবস্থান থেকে যারা ইসলামের কথা বলছেন, তাদের এই সৎ সাহসকে আমরা সাধুবাদ জানাই। যদিও তাদের প্রচারিত সব কথা ইসলামের মাপকাঠিতে সঠিক নাও হতে পারে। কারো ব্যক্তিগত চিন্তা ও মতামত নিয়ে বিদ্রূপ করা মানুষগুলো আবার নিজেদেরকে মুক্তমনা দাবি করে, এর চেয়ে হাস্যকর বিষয় আর কী হতে পারে?
প্রত্যেক পেশার মানুষ, হোন তিনি নায়ক-গায়ক-ক্রিকেটার, ধর্মপ্রচারের অধিকার রাখেন। এ নিয়ে ব্যঙ্গ-বিদ্রূপ করার অধিকার কারো নেই। তার পেশা ইসলাম সমর্থন করে কি না সেটা ভিন্ন আলাপ।
দেখবেন, এরাই কিন্তু কথায় কথায় বলে, ধর্মের দায়িত্ব হুজুরদের হাত থেকে ছিনিয়ে নিয়ে সাধারণ মানুষের হাতে তুলে দিতে হবে। যেন হুজুররা ধর্ম ব্যবহার করে সুবিধা ভোগ করতে না পারে।
অথচ সাধারণ মানুষ যখন ধর্মের কথা বলতে শুরু করে, তখন এই মানুষগুলোও তাদের কাছে অপ্রিয় এবং ধর্মব্যবসায়ী হয়ে ওঠে।
এইসব মুক্তমনারা যে কতবড় স্ববিরোধী এবং দ্বিচারী, বিভিন্ন ইস্যু এসে তা দেশবাসীর সামনে উন্মুক্ত করে দেয়। তাদের এই দ্বিমুখিতার একমাত্র কারণ ইসলাম বিদ্বেষ। এই পৃথিবীতে তারা ইসলাম ছাড়া আর কোনো কিছুর মধ্যে সমস্যা দেখে না।
এইসব চরিত্রের মানুষের ব্যাপারেই মহান আল্লাহ বলেছেন : তারা বধির, মূক, অন্ধ; কাজেই তারা ফিরে আসবে না।